জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্নোত্তর:-

                    বিষয় :-বাংলা
                        দশম শ্রেণি
                       জ্ঞানচক্ষু
১)"কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল" -কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?

💥উঃ- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপন যখন শোনে তার নতুন মেসোমশাই লেখক এবং মেসোমশাই লেখা বই ছাপাও হয় তখন তপনের চোখ  বিস্ময়ে মার্বেল হয়ে যায়।

২) "এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের"- কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
💥উঃ- লেখাকরা যে  আর পাঁচজন মানুষের মতো অর্থাৎ তপরের বাবা , ছোটমামা বা  মেজোকাকুর মতোই মানুষ , এ বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।

৩) তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী ?- তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন?
💥উঃ:- তপন এতদিন মনে করত লেখকরা অন্য গ্রহের জীব । কিন্তু লেখক মেসোমশাইকে দেখে তপন জেনে গেছে, লেখক মানে কোনো  আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, তার মতোই মানুষ । তাই তপনের লেখক হতে বাধা নেই।

৪)"তখন অবশ্য মাসির এই হইচই মনে মনে পুলকিত হয়" -তপনের পুলকিত হওয়ার কারণ কী?
💥 উঃ- তপনের লেখা গল্প ছোট মাসির হাত ঘুরে লেখক মেসোমশায়ের কাছে পৌঁছায়। লেখক হওয়ায় তিনিই লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন এইভাবে তপন মনে মনে পুলকিত হয়। 

৫) হঠাৎ  ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন-উত্তেজনার কারণ কী?
💥উ:--  তপন লেখকের মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার হোমটাস্ক-এর খাতায় তিনতলার সিঁড়িতে একাসনে বসে সত্যিকারের একটি গল্প লিখে ফেলে। এবং মনে মনে সে নিজেকে লেখক ভাবতে থাকলে, ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে।

৬) "পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও  ঘটে" -কোন ঘটনাকে অলৌকিক ভাবা হয়েছে?
💥উত্তর- তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।হাজার হাজার ছেলের হাতে সে পত্রিকার লেখা ঘুরবে। এই ঘটনাকেই  তপনের অলৌকিক বলে মনে হয়েছে।

৭) "বুকের রক্ত ছলকে উঠলো তপনের" - কী কারনে তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল?
💥উত্তর- নতুন মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দিবেন বলে, তপনের লেখা প্রথম গল্পটি নিয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎ একদিন মাসি ও মেসোকে সেই সন্ধ্যাতারা পত্রিকার একটি সংখ্যা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসলে, এই ঘটনা দেখে  উত্তেজনায় তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
   :-------------:------------------:----------------------

Comments