উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত দ্বাদশ শ্রেণী রাজা ইন্দ্রবর্মার চরিত্র আলোচনা
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত
প্রশ্ন:-‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজা ইন্দ্রবর্মার চরিত্র আলোচনা কর?
ভূমিকা
নাট্যকার আর কৃষ্ণমাচার্য বিরচিত বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশের অন্যতম প্রধান চরিত্র হলেন বৈবস্বত নগরের রাজা ইন্দ্রবর্মা। তাঁর কথোপকথনের মধ্য দিয়ে নিম্নলিখিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁজে পাওয়া যায়।
আদর্শপ্রেমিক
কনকলেখার সাথে বিবাহের চারদিক বাকি থকলেও তাঁর মন অত্যন্ত উৎকন্ঠিত ও ধৈর্য্যহীন হয়ে পড়েছে
কেবলমাত্র কনকলেখাকে কাছে পাওয়ার জন্য। তাঁর কাছে এক মুহুর্ত একটি যুগের ন্যায় মনে হচ্ছে
‘‘নাড়িকাহপি যুগায়তে।’’
উৎসবপ্রিয়তা
রাজা ইন্দ্রবর্মা তাঁর বিবাহ মনোৎসবের আনন্দ রাজার সকল প্রজাগনের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রমোদকে নির্দেশ দিয়েছেন
‘‘দুঃখং বিদ্রাবর বৈবস্বতনগরমাবর্জয় সর্বতঃ প্রমোদম্।’’
এ থেকে রাজার উৎসবপ্রিয়তার গুণটি প্রকাশিত হয়েছে।
নারীমর্যাদার প্রতীক
নারী মর্যাদায় রাজা অত্যন্ত সচেতন। তাই বিবাহের ব্যাপারে কনকলেখার সঙ্গে আলোচনা করেন।
এছাড়াও কৌমুদীর সাথে গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেন।
প্রজানুরঞ্জক
রাজা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও বৃদ্ধ প্রজা ইন্দুশর্মার প্রার্থনা বা অভিযোগ মন দিয়ে শুনেছেন এবং তার অভিযোগের মীমাংসা তথা সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হয়েছেন
অর্থাৎ আদর্শ রাজার দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিনয়ী
রাজা অত্যন্ত বিনয়ী ও সমাচার সম্পন্ন ছিলেন। তাই ইন্দুশর্মাকে সাধারণ প্রজা বলে উপেক্ষা করেননি।
বরং তার প্রতি নমস্কার জানিয়েছেন
‘‘নমো ভবত ইন্দুশর্মম্।’’
বিচক্ষণতা
রাজা ইন্দ্রবর্মা ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ। তিনি ইন্দুশর্মাকে দেখে বুঝতে পেরেছিলেন যে সে কোপ ও শোকে আবিষ্ট।
তাই তিনি ইন্দুশর্মাকে জিঞ্জাসা করেছেন
‘‘কথং কার্যাতুর ইব দৃশ্যতে?’’
এছাড়াও কৌমুদীর যুক্তি বিচক্ষণতার সাথে খÐন করে তার কর্তব্য স্বরণ করিয়েছেন।
সমব্যথী
রাজা নিজে প্রেমিক হওয়ার কারণে কৌমুদীর প্রতি সমব্যথী হয়ে বালিকা সম্বোধন করে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
Comments
Post a Comment